জাহিদ হাসান ঃ কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সকালের সোনারোদ। শেষ হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠ ভরা সোনালী ধান। লেজঝোলা ফিঙে আর শালিক ঝগড়া করে, তারপর উড়ে যায়। এসব কিছুই দেখার ফুরসত নেই যেনো কৃষকের! মাঠের পাকা ধান কেটে তুলতে হবে গোলায়।
সে কাজেই ব্যস্ত কুষ্টিয়া ভেড়ামারার কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে এবার জেলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন চলছে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব। আরো জানান, আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা যেমন খুশি, তেমনি স্বস্তিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। স্বর্ণ রঙে পাকা শিশিরের ভারে হেলে পড়েছে ধান। ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পান্তা খেয়ে কাস্তে হাতে কৃষকরা মাঠে ছোটেন সেই ধান কাটতে।
ধান কাটার সময় তারা কেউ কেউ বেহুলা লখিন্দরসহ বিভিন্ন লোক সংগীত গেয়ে ওঠেন।
তাদের গানে যেন মুগ্ধ হয়ে শালিকের ঝাঁক দেয় কিচির-মিচির ডাক! ধানের পাঁজা মাথায় নিয়ে কৃষক যখন আইল পথে পায়ের ছাপ এঁকে হেঁটে যান তখন যেন মনে হয় সূর্যের আলোয় কৃষকের মাথায় স্বর্ণ দানা চিকচিক করছে।হেমন্তের বাতাসে ভেসে বেড়ায় পাকা ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ। দিনভর খাটুনি খেটে ধান কাটার পর মাড়াই শেষে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষাণী বধূরাও। আর এভাবেই দেখতে দেখতে গোলা ভরে উঠছে কৃষকের।
akash bangla